শূন্যতায় সমাপ্তি...
(এটা আমার আপুর লাইফ স্টোরি)
শুরুটা হয়েছিলো ২০১১ সালের এপ্রিল এ । ফেসবুক এ পরিচয় আমাদের।ভালো একটা ফ্রেন্ডশীপ হয় । তারপর ভালোলাগা ,ভালোবাসা ।কখনো ভাবিনি যে ভালোবাসার ব্যাপারে এতো সিরিয়াস হব । এতো ভালোবাসবো ওকে ।প্রেম করবো জিনিস টা মাথায় ছিলোনা । আমার ঝগড়া করা জিনিস টা একটুও ভালো লাগে না কিন্তু ও ঝগড়াকরতো বেশী।সামান্য ব্যাপারেও অনেক রাগারাগি করতো,অনেক বকা দিতো ।তখন আমার খুব বিরক্ত লাগতো।
ভাবতাম ব্রেক আপ করে ফেলবো পরে নিজেই থাকতে পারতাম না।
এভাবে ৯-১০ মাস কেটে যায়। এর মধ্যে আমাদের ২ বার দেখাও হয় ।
এর কিছু দিন পর ওদের বাড়ি থেকে ওকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ।তখন ও আমাকে বলে আমাদের বাড়িতে যেন আমাদের Relation এর কথা জানায়।তারপর আমি মা কে জানালাম ।মা তো সোজা না করে দেয়।কারণ তারাএতো দূরে মেয়ে বিয়ে দিবে না ।বলা বাহুল্য ,ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, AMIE পরতেছে জব ।বাড়ি নড়াইল থাকে ঢাকা ই।আমি স্টুডেন্ট,বি.ব. এস. ২য় বর্ষ ।বাড়ি বান্দরবান,থাকি চট্টগ্রাম। মা না করার পর অনেকটা হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম ।খুব কষ্ট হচ্ছিলো মেনে নিতে তাই ভাবলাম আরো চেষ্টা করে দেখি ।
প্রথমে ওদের বাড়ির কেউ রাজি ছিলো না পরে ও আস্তে আস্তে সবাই কে রাজি করায় ।ওর বাবা, মা, ভাই, ভাবী সবার সাথেই আমার কথা হয়।ওরা সবাই চায় আমি যে কোন ভাবে যেন ওদের ঘরে যায় ।
তখনও আমি বলছিলাম যে আমি বাবা মা কে রাজি করাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো ।তারা যদি রাজি না হয়তবে আমি চলে যাবো ।
মা কে অনেক বুঝালাম ।মা কিছুটা রাজি হয়।তারপর আমার মা আমার মামা,চাচা, খালা, খালু সবার সাথে পরামর্শ করে আমার ভাই ,মামা এবং চাচা কে ওদের বাসায় (ঢাকায়) পাঠাই । জানতাম না ওদের মনে কি ছিলো ।আমার মামা, চাচা ঢাকা থেকে আসার পর ওদের কে অপমান জনক কিছু কথা বলে।যা বলার সব কিন্তু আমাকেই বলছিলো।বিশ্বাস করে ভালোবাসার মানুষটা কে সব বল্লাম ।আর ও সেসব কথা ওদের ফ্যামিলি তে জানায় ।এর পর থেখে ওদের ফ্যামিলির সবার চোখে আমি কাঁটা হয়ে গেলাম ।
জীবনে এতোটা ছোট আমি কখনো হই নি ।বাড়িতে যার যা ইচ্ছা কথা শুনাইছে।আমার "মা" যে মা কষ্ট পাবে ভেবে আমি পালিয়ে যাই নি সেই মা আমায় বলে "বিষ খেয়ে মরে যেতে পারস না?"
কষ্ট সহ্য করার ও একটা সীমা থাকে।আমার এখন কাউ কে মুখ ও দেখাতে ইচ্ছে না।
আর আমার ভালোবাসার মানুষটা ওর বাবা,মা,ভাইয়ের কথা শুনে আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে চায় না।
অথচ বাড়িতে যখন বিয়ের কথা চলছিলো তখন ওর ভাই বলছিলো বিয়ে হলে ঢাকায়হবে।একটা দিন চট্টগ্রাম আসার সময়ওনার হয় না।একটা দিন ভাই কে দেয়ারসময় ওনার নাই। আর ও সেই ভাইয়ের কথা শুনে........
তারপরও ভালোবাসার মানুষটির দোষ দিতে ইচ্ছে করে না ।কেউ ওর নামে কিছু বল্লে অথবা কেউ ওর দোষ দিলে আমার শুনতে ভালো লাগে না ।
ভালোবাসি তো........
দুঃখ একটাই, যার জন্য এতো কষ্ট সহ্য করলাম সে-ই এখন আমার খোঁজ নেয় না।
আল্লাহর হুকুম কে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। তারপরও মাঝে মাঝে মানতে ইচ্ছে করে না।
কারও ঘর-সংসার ভেঙ্গে গেলেও বোধয় এত চেষ্টা করে না যতটা চেষ্টা করেছিলাম ভালোবাসার মানুষটা কে ধরে রাখতে।
কিন্তু আমি কিছুই করতে পারলাম না।আমি একজন ব্যর্থ প্রেমিকা.....
মরতেও পারছিনা আবার বাঁচতেও পারছি না।খুব অসহায় লাগে নিজেকে।
অনেক বেশী ভালোবাসি ওকে.....অনেক বেশী....অনেক বেশী....
খুব মিস করি ওর ঝগড়া গুলো।
খুব মিস করি ওর বকা দেয়া কে।
এখন আমি চাইলেও ওর বকা শুনতে পাই না।
আমার সাথে ঝগড়া করার জন্যও ওকে আমি পাই না......
আমি ওকে খুব মিস করছি.....খুব... ..খু-উ-ব.....##
(এটা আমার আপুর লাইফ স্টোরি)
শুরুটা হয়েছিলো ২০১১ সালের এপ্রিল এ । ফেসবুক এ পরিচয় আমাদের।ভালো একটা ফ্রেন্ডশীপ হয় । তারপর ভালোলাগা ,ভালোবাসা ।কখনো ভাবিনি যে ভালোবাসার ব্যাপারে এতো সিরিয়াস হব । এতো ভালোবাসবো ওকে ।প্রেম করবো জিনিস টা মাথায় ছিলোনা । আমার ঝগড়া করা জিনিস টা একটুও ভালো লাগে না কিন্তু ও ঝগড়াকরতো বেশী।সামান্য ব্যাপারেও অনেক রাগারাগি করতো,অনেক বকা দিতো ।তখন আমার খুব বিরক্ত লাগতো।
ভাবতাম ব্রেক আপ করে ফেলবো পরে নিজেই থাকতে পারতাম না।
এভাবে ৯-১০ মাস কেটে যায়। এর মধ্যে আমাদের ২ বার দেখাও হয় ।
এর কিছু দিন পর ওদের বাড়ি থেকে ওকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ।তখন ও আমাকে বলে আমাদের বাড়িতে যেন আমাদের Relation এর কথা জানায়।তারপর আমি মা কে জানালাম ।মা তো সোজা না করে দেয়।কারণ তারাএতো দূরে মেয়ে বিয়ে দিবে না ।বলা বাহুল্য ,ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, AMIE পরতেছে জব ।বাড়ি নড়াইল থাকে ঢাকা ই।আমি স্টুডেন্ট,বি.ব. এস. ২য় বর্ষ ।বাড়ি বান্দরবান,থাকি চট্টগ্রাম। মা না করার পর অনেকটা হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম ।খুব কষ্ট হচ্ছিলো মেনে নিতে তাই ভাবলাম আরো চেষ্টা করে দেখি ।
প্রথমে ওদের বাড়ির কেউ রাজি ছিলো না পরে ও আস্তে আস্তে সবাই কে রাজি করায় ।ওর বাবা, মা, ভাই, ভাবী সবার সাথেই আমার কথা হয়।ওরা সবাই চায় আমি যে কোন ভাবে যেন ওদের ঘরে যায় ।
তখনও আমি বলছিলাম যে আমি বাবা মা কে রাজি করাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো ।তারা যদি রাজি না হয়তবে আমি চলে যাবো ।
মা কে অনেক বুঝালাম ।মা কিছুটা রাজি হয়।তারপর আমার মা আমার মামা,চাচা, খালা, খালু সবার সাথে পরামর্শ করে আমার ভাই ,মামা এবং চাচা কে ওদের বাসায় (ঢাকায়) পাঠাই । জানতাম না ওদের মনে কি ছিলো ।আমার মামা, চাচা ঢাকা থেকে আসার পর ওদের কে অপমান জনক কিছু কথা বলে।যা বলার সব কিন্তু আমাকেই বলছিলো।বিশ্বাস করে ভালোবাসার মানুষটা কে সব বল্লাম ।আর ও সেসব কথা ওদের ফ্যামিলি তে জানায় ।এর পর থেখে ওদের ফ্যামিলির সবার চোখে আমি কাঁটা হয়ে গেলাম ।
জীবনে এতোটা ছোট আমি কখনো হই নি ।বাড়িতে যার যা ইচ্ছা কথা শুনাইছে।আমার "মা" যে মা কষ্ট পাবে ভেবে আমি পালিয়ে যাই নি সেই মা আমায় বলে "বিষ খেয়ে মরে যেতে পারস না?"
কষ্ট সহ্য করার ও একটা সীমা থাকে।আমার এখন কাউ কে মুখ ও দেখাতে ইচ্ছে না।
আর আমার ভালোবাসার মানুষটা ওর বাবা,মা,ভাইয়ের কথা শুনে আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে চায় না।
অথচ বাড়িতে যখন বিয়ের কথা চলছিলো তখন ওর ভাই বলছিলো বিয়ে হলে ঢাকায়হবে।একটা দিন চট্টগ্রাম আসার সময়ওনার হয় না।একটা দিন ভাই কে দেয়ারসময় ওনার নাই। আর ও সেই ভাইয়ের কথা শুনে........
তারপরও ভালোবাসার মানুষটির দোষ দিতে ইচ্ছে করে না ।কেউ ওর নামে কিছু বল্লে অথবা কেউ ওর দোষ দিলে আমার শুনতে ভালো লাগে না ।
ভালোবাসি তো........
দুঃখ একটাই, যার জন্য এতো কষ্ট সহ্য করলাম সে-ই এখন আমার খোঁজ নেয় না।
আল্লাহর হুকুম কে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। তারপরও মাঝে মাঝে মানতে ইচ্ছে করে না।
কারও ঘর-সংসার ভেঙ্গে গেলেও বোধয় এত চেষ্টা করে না যতটা চেষ্টা করেছিলাম ভালোবাসার মানুষটা কে ধরে রাখতে।
কিন্তু আমি কিছুই করতে পারলাম না।আমি একজন ব্যর্থ প্রেমিকা.....
মরতেও পারছিনা আবার বাঁচতেও পারছি না।খুব অসহায় লাগে নিজেকে।
অনেক বেশী ভালোবাসি ওকে.....অনেক বেশী....অনেক বেশী....
খুব মিস করি ওর ঝগড়া গুলো।
খুব মিস করি ওর বকা দেয়া কে।
এখন আমি চাইলেও ওর বকা শুনতে পাই না।
আমার সাথে ঝগড়া করার জন্যও ওকে আমি পাই না......
আমি ওকে খুব মিস করছি.....খুব... ..খু-উ-ব.....##
No comments:
Post a Comment