সব গল্পের শিরোনাম হয়না !
আমি তাকে পছন্দ করতে চাইনি,কিন্তু সে ছিলই এত মনোমুগ্ধকর! গল্প টা আর দশটা প্রেম-কাহিনি এর মত মনে হতে পারে, হইতবা সেরকমই,হইতবা না। কিন্তু যদি গল্পটা দৃষ্টিতে একবার ও না আনেন কখনই জানতে পারবেননা কি ছিল!
গল্পটি যাকে নিয়ে সেই মেয়েটির নাম প্রিতসি, যে নামের সাথে মেয়েটি শুরু থেকেই ছিল সন্তুষ্ট। মেয়েটি অতি সাধারন,কিন্তু অন্য সাধারণদের দলে তাকে ফেলা ঠিক হবেনা। গল্প শুরুর আগে মেয়েটির সম্পর্কে সামান্য কথা বলা দরকার। পাঁচ ফিট দুই ইঞ্ছি, হালকা বাদামী চোখের মনি, কালো চুল কাঁধ ছাড়ানো, কোন বিশেষ দিক দিয়েই মেয়েটি বিশেষিত না, এইগুলোই মৌলিক জিনিশ যা বলে রাখা ভাল
ছেলেটির নাম ছিল প্রিয়ম। সব দিক দিয়েই সে ছিল স্পেশাল, একবার দেখলেই মনে তাকে বেঁধে রাখতেই ইচ্ছা হবে। প্রথম প্রথম কোন ইউনিভার্সিটি তে আসলে যে কোন মানুষ এরই একটু খারাপ লাগবে। সব কিছুয়ের সাথে মানিয়ে নিতে একটু সময় লেগেছিল প্রিয়ম এর। ছেলেটি গীটার আর ড্রাম বাজাতো এবং সেই সাথে গান ও গাইত ভাল। যখন গান গাইত আর সেই সুর প্রিতসি এর কানে এসে লাগত মনে হত প্রিয়ম এর কাছে গিয়ে একসাথে হাসতে,কাদতে,আর গান গাইতে।
প্রিতসি প্রিয়ম কে খুব ই পছন্দ করত; আসলে ভালবাসত যেটার কোন ধারনাই কারো ছিলনা, প্রিয়ম এর ও না!!!
ইউনিভার্সিটি জীবনের একদম শেষ পর্যায়ে দু’জনই। প্রিতসি আর প্রিয়ম এর ভালই বন্ধুত্ব হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি শেষ হউয়ার মাত্র ২মাস আগে হঠাত একদিন প্রিয়ম বলল প্রিতসি কে কফি খেতে যাওয়ার জন্য। শুধু মাত্র “না” বলতে পারার অভ্যাস না থাকার কারনে প্রিতসি মানা করতে পারিনি। কিছুটা গায়ে লেগেছিল মেয়েটির যখন রাজি হউয়ার পর প্রিয়ম আর একটা কথাও বলেনি। রাগ লেগেছিল যে একটু হাসে পর্যন্ত নেই ছেলেটা, তার কথা মেনে নাওয়ায় প্রিয়তি। কোন ধারনাই ছিল না প্রিয়তির কেন প্রিয়ম এমন করলো। যাইহোক, পরের দিন, কফি শপ এ দুজন বসে ছিল মুখোমুখি। কারো মুখে কোন কথা নেই। হুট করে শুরুটা করলো প্রিয়তি-
প্রিতসি __ প্রিয়ম শুনো !
প্রিয়ম __ হুমম...বল।
প্রিতসি __ তো... !!
প্রিয়ম __ কিছুই না! ( কিছুটা বিরক্ত হয়ে )
প্রিতসি __ তুমি নিজেই আমাকে এখানে আসতে বললে...
প্রিয়ম __ এমনি, কিছু না।
প্রিতসি __ কেন???
প্রিয়ম __ আমি তোমাকে কেনইবা হঠাত আসতে বলবো ?!?
প্রিতসি __ ঠিক, সেটাই তো জিজ্ঞেস করতেসি।
প্রিয়ম __ নাহ, আসলে এমনি, মনে হল তাই।
প্রিতসি __ মনে হল তাই???
প্রিয়ম __ সেটাই তো মাত্র বললাম তাই না??
প্রিতসি __ I am sorry, actually I am not sorry. তোমার মত এমন মানুষ আমি জীবনে দেখিনি। তোমার সাথে এক মুহূর্ত থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। একটা কথার ঠিক উত্তর দিচ্ছ না। ( মারাত্মক রেগে গিয়ে)
প্রিয়ম __ তুমি কি এসব বলে আমাকে ছোট করতেস?
প্রিতসি __ তোমার কি মনে হয়?
প্রিয়ম __ কেন? এমন কেন করলা?
প্রিতসি __ নাহ, আসলে এমনি, মনে হল তাই।
প্রিয়ম __ তুমি চাইনিজ খাবার পছন্দ কর?? (একটু হেসে, যেন মেয়েটির খোঁচা দাওয়া কঠিন কথা কানেই যায়নি। )
প্রিতসি __ আমার ভাল লাগেনা।
প্রিয়ম __ তুমি তো কখনও খাওনি ... ভাল লাগবে কিভাবে??
প্রিতসি __ তুমি কিভাবে জানো??
প্রিয়ম __ আমি মানুষকে পড়তে পারি মানে ভাল বুঝতে পারি।
প্রিতসি __ ও আচ্ছা! কিন্তু তোমার ধারনা একদম ভুল, অনেকবার আমি খেয়েছি কিন্তু প্রতিবার এর একবার ও ভাল লাগেনি।
প্রিয়ম __ আমার সাথে যাবে তুমি? চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ ?
প্রিতসি __ রেস্টুরেন্ট?? চাইনিজ??
প্রিয়ম __ জি ! ( মুছকি হেসে )
এরপর এভাবে শুধু চাইনিজ না, আরও অনেক জায়গায় একসাথে ঘুরা, খাওয়া, মজা করা হোল দু’জনের। আশ্চর্যের বেপার হোল যে জায়গা তেই যাক ওরা, দু’জনের ঝগড়া লেগেই থাকতো, সবসময় প্রিতসি এর রাগ ধরায় দিত প্রিয়ম। সমস্যা ছিল শুধু একটাই, প্রিয়তি বুঝত না এই ঝগড়া টা সে পছন্দ করে নাকি করে না !!
সময়ের সাথে সাথে সময় চলে এল বিদায়ের। দেখতে দেখতে graduation এর দিন চলে আসলো। একসাথে সবাই মিলে হ্যাট ওড়ানোর পর প্রিয়মের সাথে দেখা হোল প্রিতসির।
প্রিয়ম __ ভার্সিটি জীবন শেষ হয়ে গেল তাই না??
প্রিতসি __ হুমম,,
প্রিয়ম __ এখন তুমি কি করতে চাও প্রিতসি?
প্রিতসি __ আমার জীবনের সাথে? মানে আমার জীবনে?
প্রিয়ম __ অবশ্যই !
প্রিতসি __ তোমার সাথে থাকতে চাই।
একবার ও সে হাসলও না, যদিও প্রিতসি সেটাই চেয়েছিল।
প্রিয়ম __ তুমি উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়তে চাও না?
প্রিতসি __ চাই ?? নাকি চাইতে হবে?? ( লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে )
প্রিয়ম __ তুমি সেটার সিদ্ধান্ত নাও ( হালকা হেসে )
প্রিতসি __ হুম, আমাকে চাইতে হবে। সেটাই একমাত্র জায়গা যা আমাকে গ্রহন করবে।
অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর-
প্রিতসি __ তুমি কি করবে প্রিয়ম?
প্রিয়ম __ আমি জানিনা।কিন্তু তাই করব যেটা সবথেকে ভাল জানি, play my music.
প্রিতসি __ That’s great
প্রিয়ম __ এখন তাহলে আসি, পরে জীবনে হইত আবার দেখা হবে। ভাল থেক প্রিতসি।
প্রিতসি __ তুমিও ভাল থেক, bye প্রিয়ম।
সেসব অনেকদিন আগের কথা মনে করে আজ প্রিতসি এর আবার মনে হয় সেদিন বিদায় না দিয়ে আর কিছু বললে হইত ভাল হত। প্রিয়ম কে যদি বলতে পারত কত বেশি ভালবাসে, যদি বলতে পারত যতবার প্রিয়ম গান গাইত মনে হত এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র প্রিয়তিই আছে প্রিয়মের জন্য। যদি বলতে পারত নিজের জন্য সেদিন উচ্চশিক্ষার চেয়ে প্রিয়ম বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল !!
আজ প্রিয়তি computer এর সামনে বসে আছে সামনে প্রিয়ম এর facebook এ প্রোফাইল নিয়ে। হটাত করেই সার্চ দিয়ে পেয়ে গিয়েছিল তাকে কাল। এখনও কথা হইনি। অনলাইন এ আছে প্রিয়ম ! কথা বলতে গিয়েও পারছেনা প্রিতসি। কে জানে এখনও সে আগের মত আছে কিনা!
প্রিতসি __ হ্যালো প্রিয়ম ! ( ঠিক তেমন করেই যেমন টা আগে ডাকতো )
প্রিয়ম __ হেই প্রিতসি !
প্রিতসি __ কেমন আছ ?? অনেক পাল্টে গেছ তাইনা?
প্রিয়ম __ আমি এখন খুব বড় একজন businessman প্রিতসি। নিজের apartment এ থাকি। অনেক বড় মাপের লোকদের সাথে কথা বলি। সারাদিন অনেক ঝামেলায় থাকতে হয়। তাও ভাল লাগে। জীবনে ভাল কিছু করতে পেরেছি।
প্রিতসি __ Great !!
প্রিয়ম __ মনে তো হোল না তোমার লিখা দেখে আসলেই গ্রেট মনে হয়েছে তোমার।
প্রিতসি __ না না ! আসলেই ভাল লাগলো। সত্যি !! আচ্ছা, তুমি কি এখনও গান গাও? গীটার আর ড্রাম বাজাও?
প্রিয়ম __ গান?? গীটার?? ড্রাম?
কথাগুলো এমন করে বলল যেন আগের কোন কথাই তার মনে নেই।
প্রিয়ম __ না প্রিতসি, আমি এসব কিছুই এখন আর করিনা।
প্রিতসি __ অহহ !! আমি তোমাকে ভালবেসেছিলাম প্রিয়ম।
প্রিয়ম __ ভালবেসেছিলাম??? অতিত কাল?
প্রিতসি __ তাইত মনে হয়।
প্রিয়ম __ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
প্রিতসি __ তুমি আমাকে সেদিন কেন কফি শপ এ নিয়ে গিয়েছিলে? বলেছিলে তো এমনি।
প্রিয়ম __ আমার মনে হয়েছিল তুমি সুন্দর, অপূর্ব! আমার ভাল লেগেছিল তোমার ঘন কালো চুল, ভাল লেগেছিল তুমি কত শান্ত আর লক্ষ্মী ছিলে। অন্যদের মত অসাধারণ কিছু করার তাড়া তোমার ছিলনা। এই সাধারনতাই আমার কাছে তোমাকে করেছিল অসাধারণ।
প্রিতসি __ I wish তুমি বলতে এখন, “ এমনি” ।
প্রিয়ম __ Sorry, I am sorry.
প্রিতসি __ Me too…
প্রিয়ম __ আমাকে এখন যেতে হবে।
প্রিতসি __ হুম, আচ্ছা শুনো...
প্রিয়ম __ জি বোলো ।
প্রিতসি __ আমি আসলে কখনও চাইনিজ খাবার খাইনি !!
আমি তাকে পছন্দ করতে চাইনি,কিন্তু সে ছিলই এত মনোমুগ্ধকর! গল্প টা আর দশটা প্রেম-কাহিনি এর মত মনে হতে পারে, হইতবা সেরকমই,হইতবা না। কিন্তু যদি গল্পটা দৃষ্টিতে একবার ও না আনেন কখনই জানতে পারবেননা কি ছিল!
গল্পটি যাকে নিয়ে সেই মেয়েটির নাম প্রিতসি, যে নামের সাথে মেয়েটি শুরু থেকেই ছিল সন্তুষ্ট। মেয়েটি অতি সাধারন,কিন্তু অন্য সাধারণদের দলে তাকে ফেলা ঠিক হবেনা। গল্প শুরুর আগে মেয়েটির সম্পর্কে সামান্য কথা বলা দরকার। পাঁচ ফিট দুই ইঞ্ছি, হালকা বাদামী চোখের মনি, কালো চুল কাঁধ ছাড়ানো, কোন বিশেষ দিক দিয়েই মেয়েটি বিশেষিত না, এইগুলোই মৌলিক জিনিশ যা বলে রাখা ভাল
ছেলেটির নাম ছিল প্রিয়ম। সব দিক দিয়েই সে ছিল স্পেশাল, একবার দেখলেই মনে তাকে বেঁধে রাখতেই ইচ্ছা হবে। প্রথম প্রথম কোন ইউনিভার্সিটি তে আসলে যে কোন মানুষ এরই একটু খারাপ লাগবে। সব কিছুয়ের সাথে মানিয়ে নিতে একটু সময় লেগেছিল প্রিয়ম এর। ছেলেটি গীটার আর ড্রাম বাজাতো এবং সেই সাথে গান ও গাইত ভাল। যখন গান গাইত আর সেই সুর প্রিতসি এর কানে এসে লাগত মনে হত প্রিয়ম এর কাছে গিয়ে একসাথে হাসতে,কাদতে,আর গান গাইতে।
প্রিতসি প্রিয়ম কে খুব ই পছন্দ করত; আসলে ভালবাসত যেটার কোন ধারনাই কারো ছিলনা, প্রিয়ম এর ও না!!!
ইউনিভার্সিটি জীবনের একদম শেষ পর্যায়ে দু’জনই। প্রিতসি আর প্রিয়ম এর ভালই বন্ধুত্ব হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি শেষ হউয়ার মাত্র ২মাস আগে হঠাত একদিন প্রিয়ম বলল প্রিতসি কে কফি খেতে যাওয়ার জন্য। শুধু মাত্র “না” বলতে পারার অভ্যাস না থাকার কারনে প্রিতসি মানা করতে পারিনি। কিছুটা গায়ে লেগেছিল মেয়েটির যখন রাজি হউয়ার পর প্রিয়ম আর একটা কথাও বলেনি। রাগ লেগেছিল যে একটু হাসে পর্যন্ত নেই ছেলেটা, তার কথা মেনে নাওয়ায় প্রিয়তি। কোন ধারনাই ছিল না প্রিয়তির কেন প্রিয়ম এমন করলো। যাইহোক, পরের দিন, কফি শপ এ দুজন বসে ছিল মুখোমুখি। কারো মুখে কোন কথা নেই। হুট করে শুরুটা করলো প্রিয়তি-
প্রিতসি __ প্রিয়ম শুনো !
প্রিয়ম __ হুমম...বল।
প্রিতসি __ তো... !!
প্রিয়ম __ কিছুই না! ( কিছুটা বিরক্ত হয়ে )
প্রিতসি __ তুমি নিজেই আমাকে এখানে আসতে বললে...
প্রিয়ম __ এমনি, কিছু না।
প্রিতসি __ কেন???
প্রিয়ম __ আমি তোমাকে কেনইবা হঠাত আসতে বলবো ?!?
প্রিতসি __ ঠিক, সেটাই তো জিজ্ঞেস করতেসি।
প্রিয়ম __ নাহ, আসলে এমনি, মনে হল তাই।
প্রিতসি __ মনে হল তাই???
প্রিয়ম __ সেটাই তো মাত্র বললাম তাই না??
প্রিতসি __ I am sorry, actually I am not sorry. তোমার মত এমন মানুষ আমি জীবনে দেখিনি। তোমার সাথে এক মুহূর্ত থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। একটা কথার ঠিক উত্তর দিচ্ছ না। ( মারাত্মক রেগে গিয়ে)
প্রিয়ম __ তুমি কি এসব বলে আমাকে ছোট করতেস?
প্রিতসি __ তোমার কি মনে হয়?
প্রিয়ম __ কেন? এমন কেন করলা?
প্রিতসি __ নাহ, আসলে এমনি, মনে হল তাই।
প্রিয়ম __ তুমি চাইনিজ খাবার পছন্দ কর?? (একটু হেসে, যেন মেয়েটির খোঁচা দাওয়া কঠিন কথা কানেই যায়নি। )
প্রিতসি __ আমার ভাল লাগেনা।
প্রিয়ম __ তুমি তো কখনও খাওনি ... ভাল লাগবে কিভাবে??
প্রিতসি __ তুমি কিভাবে জানো??
প্রিয়ম __ আমি মানুষকে পড়তে পারি মানে ভাল বুঝতে পারি।
প্রিতসি __ ও আচ্ছা! কিন্তু তোমার ধারনা একদম ভুল, অনেকবার আমি খেয়েছি কিন্তু প্রতিবার এর একবার ও ভাল লাগেনি।
প্রিয়ম __ আমার সাথে যাবে তুমি? চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ ?
প্রিতসি __ রেস্টুরেন্ট?? চাইনিজ??
প্রিয়ম __ জি ! ( মুছকি হেসে )
এরপর এভাবে শুধু চাইনিজ না, আরও অনেক জায়গায় একসাথে ঘুরা, খাওয়া, মজা করা হোল দু’জনের। আশ্চর্যের বেপার হোল যে জায়গা তেই যাক ওরা, দু’জনের ঝগড়া লেগেই থাকতো, সবসময় প্রিতসি এর রাগ ধরায় দিত প্রিয়ম। সমস্যা ছিল শুধু একটাই, প্রিয়তি বুঝত না এই ঝগড়া টা সে পছন্দ করে নাকি করে না !!
সময়ের সাথে সাথে সময় চলে এল বিদায়ের। দেখতে দেখতে graduation এর দিন চলে আসলো। একসাথে সবাই মিলে হ্যাট ওড়ানোর পর প্রিয়মের সাথে দেখা হোল প্রিতসির।
প্রিয়ম __ ভার্সিটি জীবন শেষ হয়ে গেল তাই না??
প্রিতসি __ হুমম,,
প্রিয়ম __ এখন তুমি কি করতে চাও প্রিতসি?
প্রিতসি __ আমার জীবনের সাথে? মানে আমার জীবনে?
প্রিয়ম __ অবশ্যই !
প্রিতসি __ তোমার সাথে থাকতে চাই।
একবার ও সে হাসলও না, যদিও প্রিতসি সেটাই চেয়েছিল।
প্রিয়ম __ তুমি উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়তে চাও না?
প্রিতসি __ চাই ?? নাকি চাইতে হবে?? ( লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে )
প্রিয়ম __ তুমি সেটার সিদ্ধান্ত নাও ( হালকা হেসে )
প্রিতসি __ হুম, আমাকে চাইতে হবে। সেটাই একমাত্র জায়গা যা আমাকে গ্রহন করবে।
অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর-
প্রিতসি __ তুমি কি করবে প্রিয়ম?
প্রিয়ম __ আমি জানিনা।কিন্তু তাই করব যেটা সবথেকে ভাল জানি, play my music.
প্রিতসি __ That’s great
প্রিয়ম __ এখন তাহলে আসি, পরে জীবনে হইত আবার দেখা হবে। ভাল থেক প্রিতসি।
প্রিতসি __ তুমিও ভাল থেক, bye প্রিয়ম।
সেসব অনেকদিন আগের কথা মনে করে আজ প্রিতসি এর আবার মনে হয় সেদিন বিদায় না দিয়ে আর কিছু বললে হইত ভাল হত। প্রিয়ম কে যদি বলতে পারত কত বেশি ভালবাসে, যদি বলতে পারত যতবার প্রিয়ম গান গাইত মনে হত এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র প্রিয়তিই আছে প্রিয়মের জন্য। যদি বলতে পারত নিজের জন্য সেদিন উচ্চশিক্ষার চেয়ে প্রিয়ম বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল !!
আজ প্রিয়তি computer এর সামনে বসে আছে সামনে প্রিয়ম এর facebook এ প্রোফাইল নিয়ে। হটাত করেই সার্চ দিয়ে পেয়ে গিয়েছিল তাকে কাল। এখনও কথা হইনি। অনলাইন এ আছে প্রিয়ম ! কথা বলতে গিয়েও পারছেনা প্রিতসি। কে জানে এখনও সে আগের মত আছে কিনা!
প্রিতসি __ হ্যালো প্রিয়ম ! ( ঠিক তেমন করেই যেমন টা আগে ডাকতো )
প্রিয়ম __ হেই প্রিতসি !
প্রিতসি __ কেমন আছ ?? অনেক পাল্টে গেছ তাইনা?
প্রিয়ম __ আমি এখন খুব বড় একজন businessman প্রিতসি। নিজের apartment এ থাকি। অনেক বড় মাপের লোকদের সাথে কথা বলি। সারাদিন অনেক ঝামেলায় থাকতে হয়। তাও ভাল লাগে। জীবনে ভাল কিছু করতে পেরেছি।
প্রিতসি __ Great !!
প্রিয়ম __ মনে তো হোল না তোমার লিখা দেখে আসলেই গ্রেট মনে হয়েছে তোমার।
প্রিতসি __ না না ! আসলেই ভাল লাগলো। সত্যি !! আচ্ছা, তুমি কি এখনও গান গাও? গীটার আর ড্রাম বাজাও?
প্রিয়ম __ গান?? গীটার?? ড্রাম?
কথাগুলো এমন করে বলল যেন আগের কোন কথাই তার মনে নেই।
প্রিয়ম __ না প্রিতসি, আমি এসব কিছুই এখন আর করিনা।
প্রিতসি __ অহহ !! আমি তোমাকে ভালবেসেছিলাম প্রিয়ম।
প্রিয়ম __ ভালবেসেছিলাম??? অতিত কাল?
প্রিতসি __ তাইত মনে হয়।
প্রিয়ম __ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
প্রিতসি __ তুমি আমাকে সেদিন কেন কফি শপ এ নিয়ে গিয়েছিলে? বলেছিলে তো এমনি।
প্রিয়ম __ আমার মনে হয়েছিল তুমি সুন্দর, অপূর্ব! আমার ভাল লেগেছিল তোমার ঘন কালো চুল, ভাল লেগেছিল তুমি কত শান্ত আর লক্ষ্মী ছিলে। অন্যদের মত অসাধারণ কিছু করার তাড়া তোমার ছিলনা। এই সাধারনতাই আমার কাছে তোমাকে করেছিল অসাধারণ।
প্রিতসি __ I wish তুমি বলতে এখন, “ এমনি” ।
প্রিয়ম __ Sorry, I am sorry.
প্রিতসি __ Me too…
প্রিয়ম __ আমাকে এখন যেতে হবে।
প্রিতসি __ হুম, আচ্ছা শুনো...
প্রিয়ম __ জি বোলো ।
প্রিতসি __ আমি আসলে কখনও চাইনিজ খাবার খাইনি !!
No comments:
Post a Comment