amar na bola valobasa
by:unknown boy...
by:bibagi ami
৭ ফেব্রুয়ারী ,২০০৮, বৃহস্পতিবার
তাকে প্রথম দেখে ছিলাম, প্রথম দেখায় অনেক ভালো লাগলো, তার পিছু পিছু গেলাম দেখলাম আমাদের এলাকায় থাকে ,এলাকার সবাইকে কম বেশি চিনি, তাই বুঝতে পারলাম এলাকায় নতুন আসেছে,সারদিন তার বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকতাম , এইভাবেই কেটে গেল কিছু দিন....................... .......................... ................
একদিন বরভাইদের সাথে দাড়িয়ে রইলাম ওদের বাসার সাম্নে,দেখলাম ও ওর ছোটবোন এর সাথে নিচে আসলো, বড়ভাইরা দেখেই বলল কে রে এই মেয়ে????আমি বললাম ভাই ওই যে বললাম না একটা মেয়ে পছন্দ হইসে এই সে, রঞ্জু ভাই বলল যা propose কর,আমি বললাম ভাই ভয় লাগে,ঠিক এইসময়েই ও আমার সামনে দিয়ে গেল, ও সব কথাই শুনল র মুচকি হাসি মেরে চলে গেল, সবাই বলল তর হয়ে গেসে রে ......তারপর থেকেই সারাদিন সকাল নেই রাত নেই তার বাসার সামনে............ ও আমাকে দেখে হাসত,ইশারা করত,তাকিয়ে থাকতো ,খুব মজায় দিন কাটতে লাগ্ল.........আকদিন রাতে electricity চলে গেল, আমি রাস্তায় ছিলাম সহসাই আমার সামনে একটা মেয়ে দৌড়ে আসলো, ভালো করে তাকিয়ে দেখি এ তো সেই .........ও আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি মারল ...মনে হল আমি আর আমার মাঝে নাই....................... .
ও ছিল আমার থেকে এক ক্লাস ছোট, আমার আর ওর স্কুল ছিল পাশাপাশি,সকাল ৭.১৫ তে আমার স্কুল শুরু আর ওর শুরু ৭.৪৫, আমি সকালে উঠেই স্কুল ড্রেস পরেই ওর বাসার সামনে হাজির............।ওর পিছু পিছু আমি স্স্কুলে জেতাম...রোজ রোজ ওর বাসার সামনে দাঁড়াতাম বলে ওর বাসার সামনের একটা টেইলার এর সাথে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে, ও যখন স্কুলে যেতো তখন আমি ওর পিছু পিছু যেতাম , ও তখন আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো র হাসতো, যদি কখনও আমার দেরি হলে টেইলার মামা আমাকে বলতো মামা গেল গা একটু আগে্,...তখন খুব খারাপ লাগত,প্রতিদিন আমি আর আমার বন্ধু সিফাত ওদের স্কুল এর সামনে দাড়িয়ে থাকতাম, ও যখন দেখত আমি দাড়িয়ে আছি ও তখন একটা হাসি দিতো ,সত্যি বলছি ওই হাসি দেখলে আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে জেত,......আমার ও আমি আবার তার পিছু পিছু তার বাসা পর্যন্ত জেতাম,......বিকেলবেলা যদি আমি মামার দোকানে বসে থাকতাম তাহলে সে তার সামনের বারান্দায় এসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো, আর যদি মাঠে খেলতাম তাহলে পিছনের বারান্দা দিয়ে আমার খেলা দেখত...................... ..এভাবে কেটে গেল ৫ মাস ,এর পর আসলো রোজা,সেই মাসে সে দুপুরে বারান্দায় বসে থাকতো র আমি ওদের সামনের বিল্ডিং এর ছাদে.........ঈদ এর ৩ দিন আগে দেখলাম ও গ্রামের বারি চলে গেল,ওই ঈদটায় সারাদিনই মন খারাপ চিল,......ঈদ এর ৫ দিন পর একদিন আমরা মাঠে দাড়িয়ে আছি ,হঠাত কামরুল ভাই আমাকে বলল দেখ দেখ তর দিকে ওই মেয়েটা তাকাইয়া আছে,আমি তার বাসার দিকে তাকালাম ,তাকিয়েই দেখি সে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, আমার মনে হল যেন ওই দিন এ ঈদ..................এভাবে কেটে গেল আরো কিছু দিন,
দেখতে দেখতে এবার কুরবানির ঈদ আসল,সেই ঈদ সে ঢাকায় ছিল , আমি সকালে ফজর এর নামাজ এর পর তার বাসার সামনে যেয়ে দাড়িয়ে থাকি,সে আমার দিকে অন্তত আধা ঘণ্টা তাকিয়ে চিল,আমিও এক নজরে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, তারপর দুপুর বেলা গরু কাটা শেষ করে বাসায় যাবার সময় সে আমাকে আর রিফাত ভাই কে দেখে উল্টা ঘুরে হাটা শুরু করে ,আমি ব্যাপারটা কিছু বুঝতে পারি নি,আমার এলাকায় একটা বড় বোন ছিল নাম পলি আপা,সে আমার সব কথা কম বেশি যানতো,আমি তাকে সব ঘটনা খুলে বলি সে আমাকে বলল রাতে তুই আসিস আমি ওর বন্ধুর(নিশাদ) সাথে তোকে কথা বলাইয়া দিব্্আমি রাতে তার বাসায় গেলাম ওর বন্ধু আমাকে বলল ভাইইয়া ও আমাকে বলসে যে আপনি যাদের সাথে ঘুরেন তারা ভালো না, তাছাড়াও আপনি যে গীটার বাজান তা ও পছদ করে না......আমি নিশাদ কে বললাম ও কি আমাকে ভালবাসে???নিশাদ বলল ভাইইয়া আমি ও ওকে এই কথা বলসি কিন্তু ও কোনো উত্তর দেয় নাই....................... .......বাসসসসসস আমি তো ভেবেই নিলাম ও আমাকে পছন্দ করে.........আমি বড় ভাই দের সাথে আড্ডা মারা বন্ধ করলাম,গীটার বাজান বন্ধ করে দিলাম............।।পরে কিছু দিন পর পলি আপা আমাকে খবর দিল সে এইবার তার স্কুলে ফার্স্ট হইসে............বাস আমি ও ক্লাস ৯ এ উঠে পড়ালেখা ভালো করে শুরু করলাম............
কিছু দিন পর আমার দুইবন্ধু সিফাত আর নোবেল মিলে বলল আজকে তারা দুইজন যেয়ে আমার নামে ওকে propose করবে......আমি খুব কষ্ট করে ওদের থামালাম, এভাবেই কিছু দিন আরও কেটে গেল.........আমার এলাকার দুইটা বন্ধু এই বেপার টা জানতো.........তারা আমাকে অনেক সাহায্য করতো কিন্তু নাইম একদিন একটা মিথ্যা আমাকে বলসিল সেইটা হল মেয়ে নাকি আমার নাম তার কাচে জানতে চাইছিল...............আমি তো আরও গভীর প্রেমে পরে যাই...।।আমার এখনও মনে আছে আমি ক্লাস ৯ এর প্রথম সাময়িক পরিক্ষার আগে রাত ১.৩০ এ তার বাসার সামনে দাড়িয়ে রয়েছিলাম।শুধু একটা হাসি দেখার জন্য.........তখন হঠাত বৃষ্টি শুরু হল বাসায় যেতে যেতে পুরো ভহিজে গেসিলাম.........মা তো বকা দেয়া শুরু করল আত রাতে তুই স্যার এর কাসে পরসস নাকি ঘুরসস......আসলেই ওই রাতে স্যার এর কাছে ১.১৫ পর্যন্ত পরসিলাম.........।যাই হউক পরদিন সকালে পরীক্ষার আগে দেখা সে একটা হাসি দিল ওই মন টা অনেক ভালো হয়ে গেল.........যদিও পরীক্ষা ভালো হয় নাই............।।কিন্তু সেইবারের রেজাল্ট ছিল আমার জীবনের সব চাইতে ভালো রেজাল্ট..................
দেখতে দেখতে আরও ৬ মাস কেটে গেল......সব কিছুই আগের মত চলছে ............হঠাত একদিন দেখলাম সে আমাকে দেখে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল.........আমি খুব কষ্ট পেলাম।।পরে পলি আপা ও ওর বান্ধবি নিশাদের কাছে থেকে শুনতে পারি যে ও আমাকে কখনই ভালবাসত না........................ ............মনে খুব কষ্ট পেলাম...না পাবার বেদনা মানুষের কতটুকু সেই দিন তা বুঝতে পারলাম..................সব কিছুই আগের মত করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু হল না...সারাদিনই শুধু তাকেই মনে পরে.........
যাই হউক একদিন আমি আমার সভাবগতভাবে তার স্কুল এর সামনে দাঁড়ালাম, তাকে দেখেই আমি একটা লাইব্রেরি এর ভিতর ঢুকলাম...আমি দেখলাম সে রিক্সা দিয়ে যাবার সময় রিকশার হুট নামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিল.........আমি ভাবলাম সে যদি আমাকে ভালনাইবাসে তাহলে সে আমার দিকে তাকিয়ে হাসবে কেন????আমি ব্যাপার তা নিয়ে অনেক চিন্তা করলাম,ভাবলাম কোথাও কোণ সমস্যা আসে,কিন্তু এর কোণও সমাধান ছিল না...............।।
ক্লাস ১০ এ উঠলাম,আবার গীটার বাজানো শুরু করলাম,আবার আগের মতই আড্ডা.................. শুধুই miss করতাম ওর হাসিকে...কিছুদিন পর দেখলাম আগে যেইসব বড় ভাইদের সাথে চলতাম তাদের মধ্যে একজন তাকে পছন্দ করে......এটা শুনেই আমার মাথায় আগুন.........।।সেও আমাকে বলে যে ও তাকে দেখেও হাসে,ইশারা করে...।।কিন্তু আমার কিছুতেই বিশ্বাস হল না......আর ওর নামে অপবাদ আমার একদমই সহ্য হল না......।।তার সাথে শুরু করলাম বেয়াদবি, কথা বলা বন্ধ করে দিসি,আরো অনেক কিছু...................... .................আমি আর আমার এক বন্ধু নাম হৃদয় একই কোচিং এ পরতাম...হৃদয় ও কে চিনতো...তো হঠাত একদিন দেখি আমার কোচিং এর সামনে ও আর ওর এক বান্ধবি......দেখলাম খুব আনন্দ লাগলো সাথে কষ্ট ফ্রী পাইলাম...কারন ও আমাকে ভালবাসে না..................
একদিন আমি আর হৃদয় প্রথম বেঞ্চে বসে ক্লাস করছি...হঠাত আমি বাহিরে তাকালাম ও ওর এক বান্ধবি কে আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছে...হৃদয় ব্যাপার তা লক্ষ্য করল,তারপর স্যার ওর দিকে তাকাল...ও লজ্জা পেয়ে চলে গেল,আমি আবারও ভাবতে শুরু করলাম ও আসলেই আমাকে ভালবাসে................... ..
কিন্তু আমি দেখলাম একদিন ও আসলেই বড়ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দুষ্টামি করতেসে......।আমি কিছুতেই তা মানতে পারলাম...।।বরং বরভাইদের উপরেই চটে গেলাম, তারাও কম উগ্র ছিল না,একদিন তারা ওর রাস্তা আটকায় এবং ওকে নানান বাজে কথা বলে,আমি সহ্য করতে না পেরে তাদের সাথে ঝগড়া করলাম,পরে তাদের কাছে বললাম আর কোনদিনও ওর পথ আটকাবেন না,.........কিন্তু তারা ওর পথ ঠিকই আটকালও, কিন্তু ও ওর বাসায় যেয়ে আমার নামেই নালিশ করল...ওর বাবা ব্যাপার তা অনেক মানুষকেই জানায়.........সে আমার বাবার কাছেও নালিশ করে....................... ....
পর থেকে তাকে মুখে ভালবাসি না কিন্তু মনেতে ঠিকই ভালবাসি......... একসময় এস, এস, সি পরীক্ষা দিলাম,কলেজেও ভর্তি হলাম,অনেক দিন অনেক মাস পার হয়ে গেল,আমি তখনও তার বাসার দিকে তাকিয়ে থাকতাম ,কিন্তু সে থাকতো না.........কলেজে অনেক মেয়ে দেখি কিন্তু কাওকেই ভালো লাগে না..................।শুধু তাকেই চায় এ মন............।
কিছু দিন আগে তার এস, এস, সি এর রেজাল্ট দিল...golden A+ পেয়েছে......সেইদিনই আমি প্রথম তার গলার স্বর শুনতে পাই...ঠিক ৪ বছর ২ মাস তার পিছন পিছন ঘুরে তার গলার স্বর শুনতে পেয়েচি...............সেইদ িন আমার খুশির কোণ সীমা ছিল না.........সত্যি বলতে কি আল্লাহ্ এর কাছে ওর জন্য অনেক দুয়া করেছিলাম তার আগে............এখন শুনেছি ওর boyfriend হয়েছে.........এখন সবাই জানে আমি ওকে ভালবাসি না ও আমাকে ভালবাসে না............কিন্তু আমার ভিতর যে কি আছে তা কেও উপলব্ধি করতে পারে না.....................।
সব শেষে একটাই কথা আমি ওকে কখনও propose করতে পারি নাই...তাই সবাই বলে আমার ভালবাসা নাকি সত্যি ছিল না......।।তাই হৃদয়ের গহিন থেকে একটাই কথা বলতে চাই....................... .......................... .......................... .......................... .......................... .................
.......................... ..........।।রিয়া আমি তোমাকে ভালবাসি।।................. ................।।
by:unknown boy...
by:bibagi ami
৭ ফেব্রুয়ারী ,২০০৮, বৃহস্পতিবার
তাকে প্রথম দেখে ছিলাম, প্রথম দেখায় অনেক ভালো লাগলো, তার পিছু পিছু গেলাম দেখলাম আমাদের এলাকায় থাকে ,এলাকার সবাইকে কম বেশি চিনি, তাই বুঝতে পারলাম এলাকায় নতুন আসেছে,সারদিন তার বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকতাম , এইভাবেই কেটে গেল কিছু দিন.......................
একদিন বরভাইদের সাথে দাড়িয়ে রইলাম ওদের বাসার সাম্নে,দেখলাম ও ওর ছোটবোন এর সাথে নিচে আসলো, বড়ভাইরা দেখেই বলল কে রে এই মেয়ে????আমি বললাম ভাই ওই যে বললাম না একটা মেয়ে পছন্দ হইসে এই সে, রঞ্জু ভাই বলল যা propose কর,আমি বললাম ভাই ভয় লাগে,ঠিক এইসময়েই ও আমার সামনে দিয়ে গেল, ও সব কথাই শুনল র মুচকি হাসি মেরে চলে গেল, সবাই বলল তর হয়ে গেসে রে ......তারপর থেকেই সারাদিন সকাল নেই রাত নেই তার বাসার সামনে............ ও আমাকে দেখে হাসত,ইশারা করত,তাকিয়ে থাকতো ,খুব মজায় দিন কাটতে লাগ্ল.........আকদিন রাতে electricity চলে গেল, আমি রাস্তায় ছিলাম সহসাই আমার সামনে একটা মেয়ে দৌড়ে আসলো, ভালো করে তাকিয়ে দেখি এ তো সেই .........ও আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি মারল ...মনে হল আমি আর আমার মাঝে নাই.......................
ও ছিল আমার থেকে এক ক্লাস ছোট, আমার আর ওর স্কুল ছিল পাশাপাশি,সকাল ৭.১৫ তে আমার স্কুল শুরু আর ওর শুরু ৭.৪৫, আমি সকালে উঠেই স্কুল ড্রেস পরেই ওর বাসার সামনে হাজির............।ওর পিছু পিছু আমি স্স্কুলে জেতাম...রোজ রোজ ওর বাসার সামনে দাঁড়াতাম বলে ওর বাসার সামনের একটা টেইলার এর সাথে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে, ও যখন স্কুলে যেতো তখন আমি ওর পিছু পিছু যেতাম , ও তখন আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো র হাসতো, যদি কখনও আমার দেরি হলে টেইলার মামা আমাকে বলতো মামা গেল গা একটু আগে্,...তখন খুব খারাপ লাগত,প্রতিদিন আমি আর আমার বন্ধু সিফাত ওদের স্কুল এর সামনে দাড়িয়ে থাকতাম, ও যখন দেখত আমি দাড়িয়ে আছি ও তখন একটা হাসি দিতো ,সত্যি বলছি ওই হাসি দেখলে আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে জেত,......আমার ও আমি আবার তার পিছু পিছু তার বাসা পর্যন্ত জেতাম,......বিকেলবেলা যদি আমি মামার দোকানে বসে থাকতাম তাহলে সে তার সামনের বারান্দায় এসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো, আর যদি মাঠে খেলতাম তাহলে পিছনের বারান্দা দিয়ে আমার খেলা দেখত......................
দেখতে দেখতে এবার কুরবানির ঈদ আসল,সেই ঈদ সে ঢাকায় ছিল , আমি সকালে ফজর এর নামাজ এর পর তার বাসার সামনে যেয়ে দাড়িয়ে থাকি,সে আমার দিকে অন্তত আধা ঘণ্টা তাকিয়ে চিল,আমিও এক নজরে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, তারপর দুপুর বেলা গরু কাটা শেষ করে বাসায় যাবার সময় সে আমাকে আর রিফাত ভাই কে দেখে উল্টা ঘুরে হাটা শুরু করে ,আমি ব্যাপারটা কিছু বুঝতে পারি নি,আমার এলাকায় একটা বড় বোন ছিল নাম পলি আপা,সে আমার সব কথা কম বেশি যানতো,আমি তাকে সব ঘটনা খুলে বলি সে আমাকে বলল রাতে তুই আসিস আমি ওর বন্ধুর(নিশাদ) সাথে তোকে কথা বলাইয়া দিব্্আমি রাতে তার বাসায় গেলাম ওর বন্ধু আমাকে বলল ভাইইয়া ও আমাকে বলসে যে আপনি যাদের সাথে ঘুরেন তারা ভালো না, তাছাড়াও আপনি যে গীটার বাজান তা ও পছদ করে না......আমি নিশাদ কে বললাম ও কি আমাকে ভালবাসে???নিশাদ বলল ভাইইয়া আমি ও ওকে এই কথা বলসি কিন্তু ও কোনো উত্তর দেয় নাই.......................
কিছু দিন পর আমার দুইবন্ধু সিফাত আর নোবেল মিলে বলল আজকে তারা দুইজন যেয়ে আমার নামে ওকে propose করবে......আমি খুব কষ্ট করে ওদের থামালাম, এভাবেই কিছু দিন আরও কেটে গেল.........আমার এলাকার দুইটা বন্ধু এই বেপার টা জানতো.........তারা আমাকে অনেক সাহায্য করতো কিন্তু নাইম একদিন একটা মিথ্যা আমাকে বলসিল সেইটা হল মেয়ে নাকি আমার নাম তার কাচে জানতে চাইছিল...............আমি তো আরও গভীর প্রেমে পরে যাই...।।আমার এখনও মনে আছে আমি ক্লাস ৯ এর প্রথম সাময়িক পরিক্ষার আগে রাত ১.৩০ এ তার বাসার সামনে দাড়িয়ে রয়েছিলাম।শুধু একটা হাসি দেখার জন্য.........তখন হঠাত বৃষ্টি শুরু হল বাসায় যেতে যেতে পুরো ভহিজে গেসিলাম.........মা তো বকা দেয়া শুরু করল আত রাতে তুই স্যার এর কাসে পরসস নাকি ঘুরসস......আসলেই ওই রাতে স্যার এর কাছে ১.১৫ পর্যন্ত পরসিলাম.........।যাই হউক পরদিন সকালে পরীক্ষার আগে দেখা সে একটা হাসি দিল ওই মন টা অনেক ভালো হয়ে গেল.........যদিও পরীক্ষা ভালো হয় নাই............।।কিন্তু সেইবারের রেজাল্ট ছিল আমার জীবনের সব চাইতে ভালো রেজাল্ট..................
দেখতে দেখতে আরও ৬ মাস কেটে গেল......সব কিছুই আগের মত চলছে ............হঠাত একদিন দেখলাম সে আমাকে দেখে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল.........আমি খুব কষ্ট পেলাম।।পরে পলি আপা ও ওর বান্ধবি নিশাদের কাছে থেকে শুনতে পারি যে ও আমাকে কখনই ভালবাসত না........................
যাই হউক একদিন আমি আমার সভাবগতভাবে তার স্কুল এর সামনে দাঁড়ালাম, তাকে দেখেই আমি একটা লাইব্রেরি এর ভিতর ঢুকলাম...আমি দেখলাম সে রিক্সা দিয়ে যাবার সময় রিকশার হুট নামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিল.........আমি ভাবলাম সে যদি আমাকে ভালনাইবাসে তাহলে সে আমার দিকে তাকিয়ে হাসবে কেন????আমি ব্যাপার তা নিয়ে অনেক চিন্তা করলাম,ভাবলাম কোথাও কোণ সমস্যা আসে,কিন্তু এর কোণও সমাধান ছিল না...............।।
ক্লাস ১০ এ উঠলাম,আবার গীটার বাজানো শুরু করলাম,আবার আগের মতই আড্ডা.................. শুধুই miss করতাম ওর হাসিকে...কিছুদিন পর দেখলাম আগে যেইসব বড় ভাইদের সাথে চলতাম তাদের মধ্যে একজন তাকে পছন্দ করে......এটা শুনেই আমার মাথায় আগুন.........।।সেও আমাকে বলে যে ও তাকে দেখেও হাসে,ইশারা করে...।।কিন্তু আমার কিছুতেই বিশ্বাস হল না......আর ওর নামে অপবাদ আমার একদমই সহ্য হল না......।।তার সাথে শুরু করলাম বেয়াদবি, কথা বলা বন্ধ করে দিসি,আরো অনেক কিছু......................
একদিন আমি আর হৃদয় প্রথম বেঞ্চে বসে ক্লাস করছি...হঠাত আমি বাহিরে তাকালাম ও ওর এক বান্ধবি কে আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছে...হৃদয় ব্যাপার তা লক্ষ্য করল,তারপর স্যার ওর দিকে তাকাল...ও লজ্জা পেয়ে চলে গেল,আমি আবারও ভাবতে শুরু করলাম ও আসলেই আমাকে ভালবাসে...................
কিন্তু আমি দেখলাম একদিন ও আসলেই বড়ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দুষ্টামি করতেসে......।আমি কিছুতেই তা মানতে পারলাম...।।বরং বরভাইদের উপরেই চটে গেলাম, তারাও কম উগ্র ছিল না,একদিন তারা ওর রাস্তা আটকায় এবং ওকে নানান বাজে কথা বলে,আমি সহ্য করতে না পেরে তাদের সাথে ঝগড়া করলাম,পরে তাদের কাছে বললাম আর কোনদিনও ওর পথ আটকাবেন না,.........কিন্তু তারা ওর পথ ঠিকই আটকালও, কিন্তু ও ওর বাসায় যেয়ে আমার নামেই নালিশ করল...ওর বাবা ব্যাপার তা অনেক মানুষকেই জানায়.........সে আমার বাবার কাছেও নালিশ করে.......................
পর থেকে তাকে মুখে ভালবাসি না কিন্তু মনেতে ঠিকই ভালবাসি......... একসময় এস, এস, সি পরীক্ষা দিলাম,কলেজেও ভর্তি হলাম,অনেক দিন অনেক মাস পার হয়ে গেল,আমি তখনও তার বাসার দিকে তাকিয়ে থাকতাম ,কিন্তু সে থাকতো না.........কলেজে অনেক মেয়ে দেখি কিন্তু কাওকেই ভালো লাগে না..................।শুধু তাকেই চায় এ মন............।
কিছু দিন আগে তার এস, এস, সি এর রেজাল্ট দিল...golden A+ পেয়েছে......সেইদিনই আমি প্রথম তার গলার স্বর শুনতে পাই...ঠিক ৪ বছর ২ মাস তার পিছন পিছন ঘুরে তার গলার স্বর শুনতে পেয়েচি...............সেইদ
সব শেষে একটাই কথা আমি ওকে কখনও propose করতে পারি নাই...তাই সবাই বলে আমার ভালবাসা নাকি সত্যি ছিল না......।।তাই হৃদয়ের গহিন থেকে একটাই কথা বলতে চাই.......................
..........................
No comments:
Post a Comment