Monday, July 9, 2012

Love Story...

“সুপ্ত ভালবাসা”

আমি “কল্পনা”, কোন সূচনা এবং ভঙ্গিমা ছাড়ায় আমি সরাসরি আমার কাহিনী টা লিখে ফেললাম। 
এই কাহিনীর শুরুটা ২০০৯ এর প্রথম দিকে, আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ভর্তি হলাম। যাই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস সব সময়ই খুব স্পেশাল থাকে তাই আমার জন্যও তেমনই ছিল, সেদিনই আমার “সুপ্তর” সাথে প্রথম দেখা। দেখা মানে সেরকম দেখা না, আসলে আমি ওকে ক্লাস এ দেখালাম। প্রথম দেখার পর আমার মনে যেই কথাটা আসল তা হল কোন ছেলের চোখ কিভাবে এত সুন্দর আর মায়াবী হয়? তো এইভাবে বেশ কিছু ক্লাস পার হয়ে গেল। এইদিকে সুপ্ত, আকাশ, মিলা, রূপা আমরা সবাই খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম। আমরা সবাই একসাথেই থাকতাম বেশী ভাগ সময়, আর জগত সংসারে যত গল্প আছে বসে বসে তাই করতাম। শুধু একজন কিছুই বলতো না। খালি বসে বসে শুনত। আর সেইটা হচ্ছে সুপ্ত। সুপ্তর সাথে যত মিশতে লাগলাম ততো ওকে ভাল লাগতে লাগলো। আমার একটা ব্যাপার ছিল যে আমি কখনও রাতে ফোনে কথা বলতাম না। একদিন রাতে সুপ্ত আর আকাশ কল কনফারেন্স করে আমাকে ফোন দিল। যখন আমি বললাম আমি রাতে ফোনে কথা বলি না আমার বাসায় সমস্যা আছে তখন আর কেউ ফোন দিত না রাতে, একদিন রাতে কি মনে হল জানিনা, আমি নিজে থেকেই সুপ্তকে ফোন করলাম আর অনেক সময় ধরে কথাও বললাম। তারপর থেকে যেন আর আমাদের কথা শেষ হয় না। যতক্ষণ বাসায় থাকতাম হয় ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার আর না হয় মোবাইলে যোগাযোগ চলত। প্রায়ই বড় বোনের কাছে বকা খেতাম ফোনে এত কথা বলার জন্য। আর অনেক কারণেই আপুর কাছে বকা খেতাম আর অনেক মন খারাপ হত। তখন সুপ্তর কাছে অভিযোগ করতাম আর ও ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার এ হ্যাপি ইমো দিয়ে আর জোক বলে আমার মন ভাল করে দিত। একদিন ভার্সিটির লবিতে বসে সবাই গল্প করছিলাম। আড্ডা চলতে চলতে একসময় ভালবাসা নিয়ে কথা উঠল। কে প্রেম করে, কার প্রেমের অনুভূতি কেমন এইসব। হঠাৎ করে মিলা সুপ্ত কে জিজ্ঞেস করে বসল, কিরে তুই প্রেম করিস?? সুপ্ত বলল হ্যাঁ করিত। আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে, মেডিকেলে পড়ে, আমাদের ১ বছরের প্রেম। কথাটা শোনার পর যেন নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমি। আমি সেই আড্ডা তে আর একটা কথাও বলতে পারিনি। আমি বাসায় আসার পর অনেক অনেক ভাবলাম, আর বুঝতে পারলাম যে আসলে আমারই ভুল ছিল আমি কখনো ওকে এই বেপারে কিছুই জিজ্ঞাসা করি নি। হয়ত সেজন্যই ও আমাকে কখনো কিছু বলে নি। তারপর বিভিন্ন কারণে আমাদের মধ্যে বেশ একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল হয়ত ওর গার্ল ফ্রেন্ড আছে এইটাই প্রধান কারণ ছিল। পরের সেমিস্টারে ওর সাথে কোন ক্লাস মিলল না আমার, তাই ওর সাথে আমার দেখাও হত না। হয়ত এই ক্লাস না মেলার পিছনে আমার অনিচ্ছা ছিল।
তখন আমার পরিচয় “উৎসর” সাথে হল, ওর সাথে আমার সব ক্লাস ছিল সারাদিন ওর সাথে থাকতে থাকতে দুজনের ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেল, আমি ওকে সুপ্তর বেপারে তেমন কিছুই বলি নি শুধু বলেছিলাম সুপ্ত আমার খুব ভাল বন্ধু, একদিন এ কথা সে কথা তে উৎস আমাকে বলল আজ ও সুপ্ত কে একটা মেয়ের সাথে দেখেছে। আমি বললাম হয়ত ওটা সুপ্তর গার্ল ফ্রেন্ড। উৎস বলল, ও আমি ভেবেছিলাম সুপ্তর কোন গার্ল ফ্রেন্ড নাই। আমি বললাম, ও একটু কম কথা বলে আর সবার সাথে নিজের সব কথা বলতে পছন্দ করে না। এভাবেই নিজের মধ্যে নানা রকম যন্ত্রণা সহ্য করে দিন কাটাতে লাগলাম। এইদিকে উৎস একদিন আমাকে ওর সাথে প্রেম করার প্রস্তাব দিল। আমি অবাক হলাম কিন্তু আমি কিছুই বললাম না। কিন্তু সে এইটাকে আমার সম্মতি বলেই ধরে নিলো যে আমি ওকে ভালোবাসি। সে সারা ক্যাম্পাসে এটা ছড়িয়ে দিল। আমি একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলাম। আমি যখন সরাসরি উৎসকে নিষেধ করে দিলাম তখন সে এটা মানতে রাজী হল না না। আমি কি করব না ভেবে পেয়ে ওকে নানা ভাবে বুঝাতে লাগলাম আমাদের মধ্যে সম্পর্ক হওয়া সম্ভব নয়। উৎস আমাকে ভয় লাগানোর চেষ্টা করতে লাগল। আমি আমার সব বন্ধুকে বললাম উৎসকে বুঝিয়ে বলতে, তখন ভাবলাম সুপ্তকেও বেপারটা জানাই। তখন নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছিলো যে কেন এতদিন ওর কোন খোজ খবর আমি নেইনি। কিন্তু তারপর ও ওকে ফোন করলাম এবং আমি সুপ্তর গলা শুনে চমকে গেলাম। মনে হচ্ছিল ও খুব অসুস্থ। আমি জানি ওর বেপারে আমি কিছু জিজ্ঞাসা করলেও ও আমাকে কিছুই বলবে না কারণ ওর ইগো খুব বেশি। তাই আমি আমার সমস্যার কথা বলে ওর কাছে হেল্প চাইলাম, ও বলল দেখি কি করতে পারি। তারপর উৎসকে সবাই বোঝালো, সে কি বুঝল আমি জানি না কিন্তু ও আর আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করত না। সুপ্তর সাথে আমার সম্পর্কটা আবার সুন্দর হয়ে উঠল। ভালই চলতে লাগলো আমাদের পুরনো বন্ধুত্ব।
তার কিছু দিন পর কথায় কথায় আমি সুপ্তর কাছে থেকে জানতে পারি ওর গার্ল ফ্রেন্ড এর বিয়ে হয়ে গেছে। আমি জানি আমার বন্ধুর এমন সংবাদে আমার দুঃখ পাওয়া উচিৎ। কিন্তু আমি জেনে সেদিন মনে মনে কি পরিমাণ খুশি হয়েছিলাম তা আসলেই বলার মত। কিন্তু একটা মুখে একটা গম্ভীর ভাব ধরে ওকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম। আমি অনেক ভেবেছি ওকে বলে দিব আমার মনের কথা, কিন্তু গত দুই বছরেও সেই কাজটা এখনও করতে পারিনি। একটায় ভয়, আমি ওকে আমার অনুভূতির কথা বলার পর ও যদি বলে আমি তোকে ভালবাসতে পারব না তাহলে আমি কি করব? তাই ভাবি এইতো বেশ আছি। কি দরকার আছে কাছে যেতে চেয়ে দূরে চলে যাওয়ার? ভালোবাসায় পূর্ণতা সবসময় সুখের নাও হতে পারে। অপূর্ণতাও অনেকসময় অনেক সুখ দেয়।



"Read more love story click here"

Ghost Story...

|| ভৌতিক ঘটনা ||


জুলাই মাস। আমার তখন মাত্র বিয়ে হয়েছে। আমি চিটাগাং এ থাকতাম, আমার হাজব্যান্ড ইউ, এস থেকে এসছিলেন, তাই যতদিন থাকবে তার বোনের বাসায় থাকার ব্যাবস্থা কর...া হল। আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে পরদিন দুপুরে সব বরযাত্রী সহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

ঢাকা এসে পৌছলাম রাত প্রায় ১ টা। ছোট আপার (আমার ছোট ননাস) ফ্ল্যাট বড় মগবাজারে বেশ পুরোনো একটা বিল্ডিং এর চার তলায়। প্রায় দশ বছর ধরে এই বিল্ডীং এই আছেন তারা। চটচটে গরমের একটা রাত, সারাদিন এর জার্নির পর আমি পৌছেই অস্থির হয়ে গেলাম গোসলে যাওয়ার জন্য। পুরোনো হলেও যথেষ্ট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাথরূমের শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে অনেক্ষন ভিজলাম। গোসলের মাঝখানে হঠাৎই কাপড়ের র্যাকক থেকে কোন কারন ছাড়াই আমার শুকনো কাপড়গুলো মেঝেতে পড়ে গেল। তাড়াতাড়ি উঠিয়ে ভাল করে গুঁজে রাখলাম যাতে আবার না পড়ে যায়। গোসল শেষে কাপড় পড়ে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি- ছিটকিনি টা নামানো, অর্থাৎ বাথরূমের দরজা শুধুমাত্র ভেজানো ছিল, খিল খোলা। প্রথমে ভাবলাম, পুরোনো বাড়ীর ছিটকিনি হয়ত ঢিলে হয়ে নেমে গেছে। তারপরও নিজের উপর ভিষন রাগ হল, এতবড় জিনিস কি করে খেয়াল করলামনা, ভেবে। লজ্জায় এই ব্যাপারে কাউকে কিছু বললাম না।

ছোট আপার একটাই মেয়ে, সুজানা। প্রায় আমার সমবয়সী। তার সাথে দিন রাত অনেক মজা করে গল্প করে দিন ভালই কাটতে লাগলো। অন্য আরেকদিনের ঘটনা। ছোট আপা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন। তবে কখনো তার কাজ বা কথার শব্দ আমাদের কামরায় পেতাম না। সেদিন সকালেই শুনি ছোট আপা কথা বলছেন জানি কার সাথে। চোখ মিটমিট করে তাকিয়ে দেখেই আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠল। আমাদের বেডরুমের দরজা হাট করে খোলা। শুধু লক খোলা না, কপাট খুলে পুরো ঘর উন্মুক্ত, এই কারনেই বাইরের সবার আওয়াজ পাচ্ছি। সাথে সাথে উঠে দরজা লাগিয়ে দিলাম।আমার স্পষ্ট মনে আছে, রাতে দরজা লাগিয়ে ঘুমুতে গেছি। কেমন যেন খটকা লাগলো। ওকে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে বললাম- “এই তুমি এই ভাবে দরজা খুলে রেখেছ কেন?” ও আধো ঘুম থেকে জাগতে জাগতে বলল- “কই আমি তো খুলিনি? তুমি না আটকে শুলে?” দরজাটা ছিটকিনির ছিল না। সেটা ছিল আধুনিক অফিস ডোর লক যা ভেতর থেকে টিপ দিয়ে বন্ধ করতে হয়। এখানে ছিটকিনি ঢিলে হয়ে নেমে যাওয়ার মত কিছুই নেই। এমনকি, যদি দরজা অল্প খুলেও যায় কপাট এভাবে খুলবে যদি কেউ হাত দিয়ে ঠেলে দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরে। এই ঘটনায় আমি একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম।

ঘটনা টা আমি সুজান কে বললাম হাসির ঘটনা হিসাবে। দেখলাম, অন্য অনেক কথার মত সুজান হাসতে হাসতে ভেঙ্গে পড়লোনা। একটু কেমন যেন গম্ভীর হয়ে শুনলো। পরে অন্য কথায় চলে গেল।

এর মধ্যে বেশ ক’বার দুপুরে গোসলে গিয়ে হঠাৎই কোনো কারন ছাড়া শুকনো কাপড় মেঝেতে পড়েছে। আর আরো দুইবার বাথরুমের ছিটকিনি খোলা অবস্থায় পেয়েছি, যে সময় আমি নিশ্চিত আমি ঠিক করেই ছিটকিনি তুলেছি। ভেবেছি, পুরোনো ছিটকিনির কোনো কব্জার দোষ। প্রতিবার ভাবি, আপাকে বলব, বা ওকে বলব একটু মেরামত করে দিতে, কিন্তু আর বলা হয়নি।

আরেক রাতের ঘটনা। ভীষন গরম পরেছে। তাও মশারী খাটিয়ে শোওয়া ছাড়া উপায় নেই। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে মশার উৎপাত। ভাল করে মশা দেখে নিশ্চিত হয়ে ঘুমালাম যে মশারীর ভেতর আর কোনো মশা নেই। অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে আমি আর আমার স্বামী দুজনেই উঠে বসলাম। বিরক্ত হয়ে সে বলল- “তুমি কি সব মশা মারনি? এত মশা এল কোত্থেকে?” আমি বললাম-“আমি তো মেরেইছি। আবার ঢুকেছে নিশ্চয়।” বেড সুইচ টিপে বাতি জ্বালিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম। দেখলাম, আমার দিক কার মশারী, যা বিছানার তোষক নয়, ম্যাট্রেসের নীচে ভাল ভাবে গুঁজে আমরা শুই, পুরোটাই খোলা, মেঝেতে লুটোচ্ছে। তাও শুধু আমার দিকের, একেবারে মাথা থেকে পা অব্ধি। এই মশারী ম্যাট্রেসের নীচ থেকে টেনে বের করতে রীতিমত কায়দা করতে হয়, নয়ত মশারী ছিঁড়েই যাবে। ও আমাকে বিরক্ত হয়ে বল্ল- “একি তুমি দেখছি মশারী না গুঁজে শুয়ে পড়েছো!” এই কাজটাও আমি কোন জন্মে করবোনা, এমনকি, উঠতে হলেও অল্প একটু মশারী তুলে, নেমে গিয়ে সাথে সাথে আবার গুঁজে দিই, এর অন্যথা কখনো হবেনা। আমি আমার স্বামীকে বলতেও সে তেমন গা করলো না। আমার দ্বায়িত্বহীনতায় খানিকটা সন্দেহ আর বিরক্তি নিয়েই ঘুমুতে গেল।
পরের দিন সকালেই নাস্তার টেবিলে হাসতে হাসতে কাল রাতে আমার “ভুলো মনের” ঘটনাটা আমার স্বামী সবাইকে বলল।আমি একটু স্বপক্ষে বললাম, কিন্তু কোনো যুক্তি খুঁজে না পাওয়ায় তেমন জোর পেলাম না বলায়। সুজান আর তার মা, মানে ছোট আপা, দেখলাম চোখাচোখি করল, অন্য কিছুর মত হাসলোনা।

এবার সেই রাতেই। আমি ঘরে বাতি নিভিয়ে শুয়ে গান শুনছি। রাত ১০টার মত হবে। ঘরের পাশে একটা লাগোয়া বারান্দা। ঐখানের বাতি জ্বলছে শুধু। হঠাৎ আমার চোখ আপনাতেই চলে গেল সেদিকে। আমার তীব্র ভাবে মনে হতে থাকলো, বারান্দায় কেউ আছে। অপরিচিত। একটা অদ্ভুত আতঙ্ক খামোখায় ঘিরে ধরল আমাকে। আমি বেশীক্ষন তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। ঐ ঘর থেকে বেরিয়েই এক ছুটে সুজানার ঘরে গিয়ে দাঁড়ালাম। সুজ কে বললাম- “সুজ, আমি জানি এটা খুব বোকার মত শোনাবে কিন্তু আমার কেমন যেন ভয় ভয় করছে। মনে হছে বারান্দায় কেউ আছে, আমার অপরিচিত, আর কম বয়স্ক একটা ছেলে। আমার এমন আগে কখনও মনে হয়নি। কিন্তু এই ফিলিংস টা খুব রিয়েল।”
ভেবেছিলাম সুজান ভিষন হাসবে আর ঠাট্টা করবে। কিন্তু ও আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল- “মামী, তুমি একা না, এই বাড়ীতে আরো অনেকেই এই টা দেখেছে। আমি নিজেও অনেক অদ্ভুত ঘটনার সামনে পড়েছি। আম্মুকে বললে বলে- আমরা গল্প শুনেছি এই বাড়ী সমন্ধে, তাই এই সব মনে ছাপ ফেলে নানা কিছু দেখি, ভাবি। কিন্তু তুমি তো এসবের কিছুই জান না, নতুন এসছ। এখন তুমিও এই সব দেখছ। আম্মু কে আমি আজই বলব।” আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে এই বাড়ীর। সে যা বলল তা মোটামুটি এ রকম-

এই বাড়িতে ছাদে অনেকেই দূর থেকে অনেক কে দেখে, যাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রায় সময় ছাদের রেলিং এ দেখা যায় একটা বাচ্চা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বহু বার গভীর রাতে প্রত্যেক ফ্ল্যাট থেকে সবাই শুনে উপর তলায় কেউ মসলা পিষছে। ঘটর ঘটর করে। কৌতুহলি হয়ে অনেক ভাড়াটে এক সাথে মিলে ছাদে গিয়ে দেখে এসছে, কেউ নেই। কিন্তু সেই অদ্ভুত আওয়াজ চলছেই। এছাড়াও আপনা আপনি বাতি নেভানো জ্বালানো, ছিটকিনি খোলা বন্ধ হওয়া এই সব প্রায় সব বাসিন্দাই পেয়েছে। সুজানা নিজে বহুবার বাতি নিভিয়ে ঘুমাতে গিয়ে মাঝ রাতে বাতি জ্বলে উঠতে দেখেছে। আরো একবার সে নাকি পাশ ফিরে শুয়ে ছিল, হঠাৎ ধপ করে তার বিছানার কিনারে কেউ একজন এসে বসেছে। আর পড়তে বসে প্রায়ই তার অনুভুতি হয়, তার ঘরে আরো একজন আছে, যে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

এত গল্পের সব বলতে গেলে আরো দশ পাতা লিখতে হবে। তার চেয়ে সব চেয়ে ভয়ঙ্কর যে ঘটনাটা আমার কাছে মনে হয়েছে সেটা বলি।

এই বাড়ীর ঠিক এই ফ্ল্যাট এ থাকতো আরেকটা পরিবার। বাবা, মা ছেলে মেয়ে আর তাদের দাদী। দাদী অনেক রাত পর্যন্ত নামাজ কালাম পরে ঘুমাতে যান। একদিন ভোরে তার চিৎকারে সবাই সেই ঘরে এসে দেখতে পান, দাদী আলুথালু হয়ে বিছানায় বসে আছেন। অপ্রকৃতস্থ। শুন্য দৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছে তিনি কিছু একটা দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়েছেন। আর সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার, তার মাথার সব চুল জট পাকানো। এমন জটা পাকানো যেন কয়েক বছর কেউ গুহা বাসী হয়ে থাকলে, জল চিরূনী স্পর্শ না করলে এমন টা হতে পারার কথা। এক রাতের ভেতরে এই রকম জটা ধরে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। পরে তারা এই জট কাচি দিয়ে কেটে ধুয়ে আঁচড়ে বহু কষ্টে ঠিক করেন, কিন্তু দাদীর মাথা ঠিক হতে প্রায় কয়েক বছর লেগে যায়। এর পরে কেউ তা জানতে চায়নি পাছে তিনি আবার পাগল হয়ে যান, এই ভয়ে।

আমার সব শেষের একটা অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ করব। আমার স্বামীর ইউ,এস চলে যাওয়ার সময় প্রায় হয়ে এসছে। এক রাতে, হঠাৎ আবারো সেই অনুভুতি নিয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়। কেউ একজন আছে আমার ঘরে। এবার অনুভুতিটা খুবই তীব্র। এমনই যেন আমার পাশেই আমি টের পাচ্ছি অন্য কারো অস্তিত্ত্ব। বারান্দার হাল্কা একটা আলো ছাড়া আর কোনো আলো নেই ঘরে। ঐ আলোতেও তবু ঘরের ভেতরটা বেশ ভালোই দেখা যায়। পাশে শুয়ে থাকা আমার স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে জাগাতে গিয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ধ্বক করে উঠল হৃদপিন্ড। ঠিক আমার স্বামীর চেহারার উপর আরেকটা ধোঁয়াটে চেহারা ভাসছে, যেটা একটা কম বয়স্ক ছেলের। আমি শুধু দেখেছি, এই চেহারার চোখ খোলা সরাসরি আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আর আমার স্বামীর চোখ সে ধোয়াটে চোখের নীচেই, বন্ধ। সে ঘুমুচ্ছে, কিন্তু অন্য মুখটা জেগে ঠিক আমার দিকেই তাকিয়ে আছে, আর তাই আমি এই অনুভুতি নিয়ে জেগে উঠেছি। প্রচন্ড আতঙ্কে আমি ছিটকে সরে গেলাম এক পাশে। তখনই ও জেগে উঠল আর সে জেগে উঠতেই ঐ ধোঁয়াটে মুখটাও অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি তাকে বললাম সব। সে আমাকে বলল- এই সব মনের ভুল, ঘুমিয়ে পড়।

এরপর আমি চলে এলাম চিটাগাং, আপারা পরে ঐ বাসা ছেড়ে বনানীতে চলে যায়। আজ এখনো ঐসব কথা আমার স্বামী ভাবে আমার মনের ভুল, কেউ কেউ তার যৌক্তিক ব্যাখা দেয়। কিন্তু আমি জানি, আমি কি দেখেছি, আমি কি অনুভব করেছি, যার কোনো ব্যাখা কোনো যুক্তি আমি এখনও দাঁড় করাতে পারিনি।


"Read more ghost story click here"

Fun story...

তেলাপোকা চিৎপটাং হয় কেন?

অনেক সময় দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে কোনো তেলাপোকা চিৎপটাং অবস্থায় পড়ে আছে। এটা তাদের আত্মরক্ষার একটি কৌশল। তেলাপোকাকে মারার জন্য তাড়া করলে ওরা এ কাণ্ডটি করে। কিছুদূর দৌড়ে মেঝের প্রান্তে গিয়ে ওরা পেছনের পায়ের আঁকশি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে এক ডিগবাজি খায়। এভাবে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে একেবারে উল্টো হয়ে পড়ে থাকে। তখন মনে হয় তেলাপোকা যেন মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে গেল। কারণ, তার বাদামি রঙের খোলসটি আড়ালে চলে যায়। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা এক সেকেন্ডের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে ঘটে। এত দ্রুত পটকান খেতে গিয়ে তার শরীরের ওপর মাধ্যাকর্ষণজনিত শক্তির তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি চাপ পড়ে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের একজন বিজ্ঞানী এ নিয়ে গবেষণা করে তেলাপোকার এই অসাধারণ কৌশলটি লক্ষ করেছেন। তক্ষকজাতীয় প্রাণীও এই কৌশলটি জানে। দেখা গেছে, ওরাও আক্রান্ত হলে চিৎপটাং হয়ে নিজেকে চোখের পলকে উধাও করে ফেলে!


"Read more fun story click here"

Actor Story...

"হুমায়ুন ফরিদি"


: সকাল কয়টায় ঘুম থেকে উঠেন ? 
: আসলে সকাল এর মানে হচ্ছে দিনের শুরু, আমার ঘুম যখন ভাঙ্গে তখন ই আমার সকাল হয়, 

এই অসাধারন কথাটি বলেছিলেন "হুমায়ুন ফরিদি" , 
সত্যি খুব চমৎকার একটা কথা বলেছিলেন, 
তবে তার এখন আর সকাল হয় না , 
তার এখন ঘুম থেকে ও উঠা হয় না 
**** অনেক মনে করি এই মানুষ কে ...



"Read more actor story click here"